আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে এবার ইতিবাচক তালেবান


অনলাইন ডেস্কঃ এর আগে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব থাকলেও এখন সায় দিচ্ছে তালেবানও। তালেবান প্রতিনিধি দলের প্রধান জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, নারীদের অবশ্যই কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ থাকতে হবে; তাদের জনসম্পৃক্ত করা হবে। তিনি এও বলেন, কূটনীতিকদের উচিত সংঘর্ষ এড়িয়ে অন্য উপায় খুঁজে বের করা। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি রোজমারি ডিকার্ডোর সঙ্গে সোমবার এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন।

আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষকে জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লো বলেছেন, নারীদের অবশ্যই কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আফগানিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা এবং অর্থনৈতিক সংকট এবং মাদকবিরোধী প্রচেষ্টাসহ দেশটির আরও সমন্বিত প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালেবানদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল। কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।

তালেবান সরকার ইসলামের একটি কঠোর ব্যাখ্যা আরোপ করেছে, যেখানে নারীরা জাতিসংঘের লিঙ্গ বর্ণবৈষম্য হিসাবে চিহ্নিত করে। তালেবান গত ফেব্রুয়ারিতে দোহা আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা আশ্বাস পাওয়ার পর সোমবারের আলোচনায় অংশ নিতে সম্মত হয়েছে যে আলোচনা অর্থপূর্ণভাবে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করবে।

আরও পড়ুন ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ২ সহস্রাধিক মৃত্যু

আফগানিস্তান বিষয়ক মার্কিন পয়েন্ট ম্যান টমাস ওয়েস্ট এবং আফগান নারী ও মেয়েদের অধিকার সংক্রান্ত মার্কিন বিশেষ দূত রিনা আমিরি দোহাতে স্পষ্ট করে বলেছেন, আফগান অর্থনীতি বাড়াতে পারবে না যতক্ষণ না তারা নারী অধিকারকে সম্মান না করবে।

কাতারের রাজধানীতে জাতিসংঘের আলোচনার সভাপতিত্ব করেন ডিকার্লো। তিনি বলেন, আমি আশা করি মেয়েদের শিক্ষাসহ জনজীবনে মহিলাদের বিষয়ে তালেবান সরকারের নীতি নতুন ভাবে বিবেচনা করবে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান অ্যাগনেস ক্যালামার্ড আলোচনার আগে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আলোচনায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য তালেবানের শর্তের মধ্যে চলে যাওয়া তাদের লিঙ্গ-ভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়নের পদ্ধতিকে বৈধতা দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।

তালেবান কর্তৃপক্ষ বারবার বলে আসছে, ইসলামিক আইনে সব নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
তালেবান প্রতিনিধি দলের প্রধান জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ উদ্বোধনী অধিবেশনে ২০ দেশের বেশি সমবেত বিশেষ দূত এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বলেছেন, নীতিতে স্বাভাবিক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও কূটনীতিকদের সংঘাতের পরিবর্তে নতুন উপায় খুঁজে বের করা উচিত।

তিনি বলেন, আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে গঠনমূলকভাবে জড়িত হতে আগ্রহী।

তিনি আরও বলেন, যে কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের মতো, আমরা কিছু ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখি। সেগুলো অবশ্যই স্বীকার করা উচিত।

ভাষান্তর: যুগান্তর


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর